পোশাক/সাজ স্বজ্জা





সজীবতাহীন, বর্ণহীন ত্বক সাজের মাধ্যমে সুন্দর করা যায়। কিন্তু বেশিক্ষণ সেজে থাকলে ত্বক আরো বেশি নষ্ট হতে পারে। তাই সাজের পাশাপাশি ত্বক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দিকে মনোযোগী হতে হবে বেশি।
* বাইরে থেকে বাসায় ফিরে ক্লিনজিং মিল্ক দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন এবং ময়েশ্চারাইজার লাগান।

* ত্বকের গ্লু ঠিক রাখতে মধু, দুধের সর, চন্দন গুঁড়া একসাথে মিশিয়ে একটা প্যাক তৈরি করে মুখে লাগান। ১৫ মিনিট পর নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

* ত্বকের মরা চামড়া ঝেড়ে ফেলতে এক্সফোলিরেটিং স্ক্রাব ব্যবহার করুন।

সাজের উপকরণ

বিভিন্ন ঋতুর জন্য বিভিন্ন রকমের সাজের উপকরণ মার্কেটে পাওয়া যায়। তাই বৃষ্টির দিনে কীভাবে সাজবেন, বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যাবে না তো- এসব নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। আপনার সাজের উপকরণগুলো কীভাবে ব্যবহার করবেন তার কিছু টিপস্ জেনে নিন-

কমপ্যাক্ট পাউডার

ত্বকের অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব এবং ঘামের সমস্যা দূর করতে কমপ্যাক্ট পাউডার ব্যবহার করুন। আপনার হ্যান্ডব্যাগে কমপ্যাক্ট পাউডার এবং ওয়েট টিসু রাখুন। এটাতে মেকআপ ফ্রেশ করতে সুবিধে হয়।

অ্যাসট্রিনজেন্ট লোশন

ত্বক পরিষ্কার করার পর অ্যাসট্রিনজেন্ট লোশন লাগান। এর উপরে হালকাভাবে কয়েক সেকেন্ড বরফ ঘষুন। এটি লার্জ পোরসের সমস্যা এবং ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর করতে সাহায্য করে।

ওয়াটার-বেজড ফাউন্ডেশন

ওয়াটার-বেজড ফাউন্ডেশনের সাথে সামান্য পানি মিশিয়ে ব্যবহার করলে ঘেমে গেলেও সমস্যা হয় না। এ রকম ফাউন্ডেশন না পেলে কেক ফাউন্ডেশন সামান্য পানি মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। অতিরিক্ত চকচকে ভাব নিয়ন্ত্রণ করতে ভিজা স্পঞ্জ দিয়ে ফাউন্ডেশন লাগান। এর উপরে হালকা পাউডার দিলে মেকআপ বেশিক্ষণ স্থায়ী থাকবে।

হালকা ব্লাশ অন

পাউডার ব্লাশার ন্যাচারাল লুক তৈরি করতে সাহায্য করবে। পিচ, ক্রিম রঙের ব্লা বেছে নিন। কোনো কারণে ভিজে গেলে টিসু দিয়ে ভ্রুর শেপ ঠিক করতে আই পেনসিল নয়, হেয়ার জেল লাগিয়ে নিন।

ময়েশ্চারাইজার

আর্দ্রতা এবং ঘামের সমস্যার জন্য ওয়াটার-বেজড ময়শ্চারাইজার ওয়াটার লস, অ্যাকনে ব্যবহার করুন।

ওয়াটার প্রুফ চোখের সাজ

চোখের মেকআপের জন্য স্মোকি ও স্মাজড লুক এখন ট্রেন্ড। চোখের পাতার উপরের অংশে আই লাইনার লাগান। চোখের নিচের অংশের জন্য হালকা লুকই ভালো। বর্ষার সময় ওয়াটার প্রুফ আইলাইনার বা মাসকারা ব্যবহার করুন। ফ্রস্টেড লিপস্টিক লিপগ্লস না লাগিয়ে লিপ বাম, ম্যাট ফিনিশ বা ফ্রস্টেড লিপস্টিক লাগান। হালকা গোলাপি, মড, আর্দি লিপ কালারের পাশাপাশি চেরি, রোজ, প্লাম এবং লালের মতো উজ্জ্বল ট্র্রেন্ডও ফিরে এসেছে। রাতের অনুষ্ঠানে ওর্ম রেড লিপস্টিক আপনার পুরো লুকটাই বদলে দিতে পারে।

হেয়ারস্টাইল

সিম্পল পনিটেলির মতো হেয়ার স্টাইল ফলো করুন। আপনার চুল সুন্দর হলে নানা রকম চুল বাঁধা ও নিত্যনতুন হেয়ার স্টাইল ট্রাই করুন।

* বর্ষায় চুলের সমস্যা বেশি হয়। তাই নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখুন।

* সপ্তাহে একদিন গরম তেল দিয়ে চুল ম্যাসাজ করুন এবং যে কোনো একটা প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করুন আপনার চুলের ধরন বুঝে।

* বর্ষার হেয়ার জেল ব্যবহার করলে খুশকির সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই চুল ঝরঝরে রাখতে সপ্তাহে দু’দিন শ্যাম্পু করে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

* হেয়ার ব্যান্ড দিয়ে বিভিন্ন ডিজাইনে চুল বাঁধুন।

* লেয়ার কাট ট্রাই করুন।

বর্ষার ত্বকের বিশেষ যত্নের জন্য

বর্ষার ত্বকে ধুলো-ময়লা জমে যায়। ত্বক অতিরিক্ত তেলতেলে কিংবা অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে এর থেকে ব্রণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ত্বকের যতেœ নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন।

* বর্ষাকালে শুষ্ক ত্বকের আর্দ্রতা কমে যায়। তাই বর্ষায় ময়েশ্চারাইজার জরুরি।

* তৈলাক্ত ত্বকের জন্য মসর ডাল, লেবুর রস এবং গোলাপজল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। * স্বাভাবিক ত্বকের জন্য মসুর ডাল, দুধের সর কাঁচা হলুদ বেটে প্যাক তৈরি করুন।

* লেবুর শরবত এবং লেবু ও আদার চা খাবেন।

* আমলকীর চাটনি কিংবা কাঁচা আমলকী প্রতিদিন একটা করে খাবেন।

সতর্কতা

ফরসা হওয়ার জন্য যে কোনো ধরনের ক্রিম ব্যবহার করা থেকে সতর্ক থাকুন। খুব হালকা কিংবা খুব গাঢ় মেকআপ না করে মাঝামাঝি মেকআপ করুন। বাসায় ফিরে মেকআপ তুলে ফেলুন হালকা পানি কিংবা ক্লিনজার দিয়ে।@ সংগৃহীত




রিবন্ডিং

রিবন্ডিং কোঁকড়া, নিস্তেজ আর রুক্ষ চুলকে স্ট্রেট, সিল্কি এবং উজ্জ্বল করে। তবে চুলের ধরন অনুযায়ী রিবন্ডিং করা উচিত। কোন চুলে কী রিবন্ডিং এবং রিবন্ডিংপরবর্তী চুলের যত্ন জানাচ্ছেন আকাঙ্ক্ষা'স গ্লামার ওয়ার্ল্ডের রূপ বিশেষজ্ঞ জুলিয়া আজাদ।

গ্লেজি রিবন্ডিং
রুক্ষ ও নিস্তেজ চুলের জন্য গ্লেজি বা থাই রিবন্ডিং। এতে চুল স্ট্রেট, সিল্কি ও শাইনি হয়। গ্লেজি স্থায়ী রিবন্ডিং। কালার চুলেও এ রিবন্ডিং করা যায়। তবে এ জন্য বাড়তি সাবধানতা প্রয়োজন। গ্লেজি রিবন্ডিং করতে ছয় ঘণ্টা সময় লাগে। চুলের দৈর্ঘ্য ও ধরনের ওপর রিবন্ডিংয়ের খরচ নির্ভর করে। সাধারণ গ্লেজি রিবন্ডিং ৬ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়।

মিল্ক রিবন্ডিং
রিবন্ডিং মেডিসিনের সঙ্গে নির্দিষ্ট পরিমাণে দুধ ব্যবহার করে মিল্ক রিবন্ডিং করা হয়। সব ধরনের চুলেই মানানসই। এটাও স্থায়ী রিবন্ডিং। অন্যান্য রিবন্ডিংয়ের তুলনায় খরচ বেশি। তবে সময় কম লাগে। মিল্প রিবন্ডিংয়ের খরচ ৭ হাজার টাকা থেকে শুরু।

ভলিউম রিবন্ডিং
পাতলা চুলে ভলিউম আনতে এ ধরনের রিবন্ডিং করা হয়। যা চুলকে ন্যাচারাল স্ট্রেট লুক দেয়। ভলিউম রিবন্ডিংয়ে সময় ও খরচ তুলনামূলক কম। এটাও স্থায়ী রিবন্ডিং। ভলিউম রিবন্ডিংয়ের খরচ ৪ হাজার টাকা থেকে শুরু।

টাচ-আপ রিবন্ডিং
স্থায়ী পদ্ধতিতে চুল স্থায়ীভাবে রিবন্ডিং হয়। অর্থাৎ রিবন্ডিং চুল সব সময় একই রকম থাকবে। তবে নতুন করে যে চুল গজাবে সে অংশ আবার কয়েক মাস পর রিবন্ডিং করে নিতে হবে। একে বলে টাচ আপ রিবন্ডিং। এর মেয়াদ এক বছর। খরচও কম। সাধারণ চুলের ধরন ভেদে ১ থেকে ২ হাজার টাকা খরচ হয়।

ক্যারোটিন রিবন্ডিং
ক্যারোটিন রিবন্ডিং এর স্থায়িত্ব ছয় মাস। ছয় মাস পর চুল আগের মতো হয়ে যায়। তখন আবার রিবন্ডিং করতে হয়। এর খরচ শুরু হয় ৫ হাজার টাকা থেকে।

চায়না রিবন্ডিং
চায়নায় তৈরি মেডিসিন দিয়ে এ ধরনের রিবন্ডিং করা হয়। এ ধরনের রিবন্ডিংয়ে সাময়িক উজ্জ্বলতা পাওয়া যায়। তবে মেয়াদ শেষে চুল রুক্ষ ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। খরচ কম। এর খরচ শুরু হয় ৩ হাজার টাকা থেকে।

রিবন্ডিংয়ের আগে-পরের যত্ন
চুল কালার করার পর পরই রিবন্ডিং করা উচিত নয়। চুল কালার করার ছয় মাস পর রিবন্ডিং করা ভালো।
পাকা চুলে মেহেদি বা গ্রে কভারেজ করা থাকলে তিন মাস পর রিবন্ডিং করা উচিত।
চুল রিবন্ডিং করার তিন দিন পর অবশ্যই একটা হেয়ার ট্রিটমেন্ট নিতে হবে। এরপর প্রতি মাসে একটা করে ট্রিটমেন্ট নিন।

রিবন্ডিং চুলের জন্য অ্যারোমা ট্রিটমেন্ট আদর্শ। এতে চুল পড়া বা চুল ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
রিবন্ডিং করার পর বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে চুলের সঙ্গে মানানসই হেয়ার কাট দিন।
রিবন্ডিং চুলের জন্য আলাদা শ্যাম্পু কন্ডিশনার পাওয়া যায়। সেগুলো ব্যবহার করুন।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন